৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি কবিতা - Click here
আজ ১৫ আগস্ট অর্থাৎ আমাদের দেশের স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবস মানে প্রত্যেকটি ভারতবর্ষের কাছে অত্যন্ত গর্বের ও আবেগের একটা দিন । আজকের দিনে আমাদের দেশের প্রতিটি অলিতে গলিতে স্কুলে, কলেজে,অফিস, আদালতে, গৌরবের সাথে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। দেশ প্রেমের আবেগে ভারতের মন আন্দোলিত হয়।
১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ব্রিটিশদের প্রায় ২০০ বছর- পরাধীনতার হাত থেকে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ মুক্তি লাভ করেছিল। এবং বিশ্বের মানচিত্রে একটি সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষের উন্মেষ ঘটে । ব্রিটিশদের একটি শিক্ষা দিয়ে ভারত একটি ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জহরলাল নেহেরু এই দিনে নয়াদিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। তারপর থেকে প্রতি বছর আমরা স্বাধীনতা দিবসকে জাতীয় উৎসব উৎসব হিসাবে উদযাপন করি। এই দিনটি সমগ্র ভারত জুড়ে অনেক আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করা হয়। স্বাধীনতা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় কোটি কোটি বীর শহীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস।
ভারতের স্বাধীনতা অর্জন ব্রিটিশ শাসন থেকে ছিনিয়ে নেওয়া খুবই কঠিন ছিল। মহান বিপ্লবীদের রক্তে রাঙ্গা আমাদের এই স্বাধীনতা। ভারতে মহান মুক্তিযোদ্ধারা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধী, জহরলাল নেহেরু, ভগৎ সিং, ক্ষুদিরাম বসু, চন্দ্রশেখর আজাদ যারা জীবনের শেষ পর্যন্ত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য কঠিন লড়াই করেছিলেন।
গান্ধীজি ছিলেন একজন মহান নেতা যিনি ভারতীয়দের অহিংসার শিক্ষাদান করেছিলেন। তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি অহিংসার সাহায্য নিয়ে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
নেতাজির মতো চরমপন্থী বিপ্লবীরা মনে করতেন স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে হবে। তিনি গড়ে তুলেছিলেন 'আজাদ হিন্দ ফৌজ'। তার স্লোগান ছিল " তোমরা আমাদের রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব " । ১১ আগস্ট ১৯০৮ সালে হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ি গলায় পড়েছিলেন ১৮ বছরের এক যুবক ক্ষুদিরাম বসু। আমরা ক্ষুদিরাম বসুর এই বলিদান কখনোই ভুলতে পারবো না তিনি আমাদের মনিকোঠারে চিরকালের জন্য রয়ে যাবে । আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না ভগৎ সিং এর লড়াই এবং প্রাণ বিসর্জন। ভগৎ সিং এর স্লোগান " ইনক্লাব জিন্দাবাদ " অর্থাৎ " বিপ্লবের দীর্ঘজীবী হোক " । এছাড়াও মাস্টার দা সূর্যসেন,বাল গঙ্গাধার তিলক, সরদার বল্লভভাই প্যাটেল, বিনয়-বাদল-দীনেশ আরো অনেক শহীদের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের এই স্বাধীনতা। স্বাধীন আমাদের ভারতবর্ষ ।
স্বাধীনতা আন্দোলনে পুরুষদের পাশাপাশি নারী শক্তির আত্মত্যাগ ছিল অনস্বীকার্য। ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, মাতঙ্গিনী হাজরা, বীণা দাস প্রমূখ সাহসী নারীরা নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে এনেছিলেন এই স্বাধীনতা । অবশেষে দীর্ঘ বছরের সংগ্রামের পর 1947 সালের 15 ই আগস্ট আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
স্বাধীনতা আমাদের অনেক সুবিধা দিয়েছে, এক শান্তির দেশ দিয়েছে যেখানে আমরা নির্ভয় থাকতে পারি। স্বাধীনভাবে ভাবার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনেক অধিকার দিয়েছে। আমাদের মুক্তি যোদ্ধাদের ছাড়া ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের করা অসম্ভব ছিল। আমাদের শহীদ বোনেদের থেকে পাওয়া এক অমূল্য উপহার।
পতিতালয়ের মাটি ছাড়া কেন তৈরি করা হয় না মা দুর্গার মূর্তি? কি রয়েছে কারণ
তাই স্বাধীন ভারতের একজন সুরক্ষিত ও দায়িত্ববান নাগরিক হওয়ার জন্য আমাদের দায়িত্ব এই স্বাধীনতা রক্ষ করা। আজ আমরা সবাই স্বাধীন হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরা আজও পরাধীন। তারা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজের স্বাধীনতা পায় না। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। আজকের দিনে এত কিছুর পরেও আমরা ধর্মের ভিত্তিতে, সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে নিজেদের মধ্যে লড়াই করছি। এইটা আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা নয়। স্বাধীনতা দিতে হবে জাতি, ধর্ম ,বর্ণ , নির্বিশেষ সকলেকেই। তবেই ভারতবর্ষ প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হয়ে উঠবে।
আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার এবং ভারতবর্ষকে বিশ্বের সেরা দেশ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই আমাদের প্রতিজ্ঞা করা উচিত যে আমরা সবসময় আমাদের দেশের সেবার জন্য কাজ করব এবং আমাদের দেশকে শক্তিশালী দেশ গড়ে তুলবো।
" জয় হিন্দ বন্দেমাতরম "
রিলেটেড আর্টিকেল :-
Independence Day Poem in Bengali 2020|৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কবিতা। নেতাজি উপলক্ষে কবিতা
৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি কবিতা | 75th Independence Day Short poem for Girls Special
Independence Day Short Speech In Bengali
Independence Day
15th August Independence Day
26 January republic Day
Independence Day Poems
Freedom Fighter Story
Indian Flag Download
Subhash Chandra Bose
Gandhiji
এই রকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটকে অনুসরণ করতে ভুলবেন না।