ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করছি।
আমার প্রিয় দেশবাসীগণ ১৫ আগস্ট ২০২২ স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বর্ষ পূর্তি। এই অমৃত মহোৎসব অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিস আছেন আপনাদের সবাই কে এবং গোটা বিশ্বে ভারত কে ভালোবাসেন , জনতন্ত্রকে ভালোবাসেন এমন সবাই কে শুভ ক্ষমনা জানাচ্ছি।
আজ স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব এর প্রবিত্র পড়বে। আমাদের সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামী সমস্ত বীর সেনানী যারা দেশের সুরক্ষায় দিনরাত এক করে নিজেদের উৎসর্গ করে সেই সমস্ত বীর বীরাঙ্গনাদের আজ আমরা প্রণাম জানায়।
১৭৫৭ সালে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানী লাভের পরবর্তী সুদীর্ঘ প্রায় ২০০ বছরের পরাধীনতার গ্লানিকে স্বাধীনতার গণ আন্দোলনে রূপান্তরিত করা পূজনীয় বাপু থেকে শুরু করে স্বাধীনতার জন্য নিজেদের সবকিছু বিলিয়ে দেওয়া নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎসিং, চন্দ্রশেখর আজাদ এনাদের মত মহান মুক্তি সেনানী থেকে শুরু করে ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ অথবা মাতঙ্গিনী হাজর দুর সাহসিক লড়াই দেশের প্রথম প্রধান মন্ত্রী পন্ডিত নেহেরুজী থেকে শুরু করে , কিংবা ভারত গঠনের দিশা নির্দেশ কারি পথ নির্মাণ কারি বাবা সাহেব আম্বেদকার সহ প্রত্যেক ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্বকে আমরা আজ স্মরণ করি । যাহাদের কাছে আমরা ঋণী।
ভারত এক বহুরত্ন বসুন্ধরা । আজ ভারতের প্রতিটি প্রান্তে প্রতিটি সময় খন্ডে যাদের নাম হয়তো ইতিহাসের পাতায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেই তারায় এই দেশ গড়েছেন একে এগিয়ে নিয়ে গেছেন ।আমরা এরকম প্রত্যেক মানুষ কে শ্রদ্ধা জানায়।
স্বাধীনতা দিবস হলো দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্রের একটা জাতীয় দিবস । ১৯৪৭ সালে ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ রাজ শক্তির শাসন কর্তৃত্ব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল । সেই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৫ আগস্ট তারিখটি স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত করা হয়।
সতেরো শতাব্দীর মধ্যে অনেক ইউরোপীয় বণিকরা ভারতীয় উপমহাদশে তাদের বাণিজ্য কুটি প্রতিষ্ঠান করেছিল। ১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে বছর ভারত শাসন আইন পাস হয় এবং উক্ত আইন বলে ব্রিটিশ রাজ্য শক্তি কোম্পানি অবসান ঘটিয়ে ভারতের শাসন ভার সহ হস্তে তুলে নেই। তৎকালীন সময়ে এই রূপ অসন্তোষ থেকে মোহনদাস গান্ধীর নেতৃত্ব অহিংসা অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন ঘনীভূত হয়। যার ফলে স্বাধীনতার আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। ১৯২৯ সালে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস লাহোর অধিবেশনে পূর্ণ সরাস ঘোষণা পত্র বা ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা পত্র গৃহীত হয়।
আমাদের ভারতবর্ষের স্বাধীনতার মূল মসল জেলে ছিল আমাদের বাঙালি , তাদের অন্যতম ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, তিনি ইংরেজদের পরাস্ত করার জন্য আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরি করেন । ওনার একটি বক্তব্য আমাদের চিরকাল মনের মণিকোঠায় গেঁথে রয়ে যাবে "তুমি আমাদের রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো"। হয়তো উনি না থাকলে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতাম না । এই কথা ইংরেজরাও বুঝতে পেরেছিল যে ভারতবর্ষ কে আর শোষণ করা যাবে না । তারা এটাও বুঝতে পেরেছিল যদি কেউ আমাদের এখন থেকে তাড়াতে পারে সে একমাত্র বাঙালি ছাড়া কেউ হবে না ।
আমাদের যুব সমাজ কে একটা বার্তা দিতে চাই , আমাদের ভারতবর্ষ কে স্বধীন করার জন্য অনেক বীর যোদ্ধাদের প্রাণ বলিদান দিতে হয়েছে ।
তোমরা তাদের কথা ভেবে , এমন কোনো কাজ করো না যে আমাদের দেশের নামে কলঙ্ক হয়।
জয় হিন্দ বন্দেমাতরম
রিলেটেড আর্টিকেল :-
Independence Day Poem in Bengali 2020|৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কবিতা। নেতাজি উপলক্ষে কবিতা
৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি কবিতা | 75th Independence Day Short poem for Girls Special
Independence Day Short Speech In Bengali
Independence Day
15th August Independence Day
26 January republic Day
Independence Day Poems
Freedom Fighter Story
Indian Flag Download
Subhash Chandra Bose
Gandhiji