Model Activity Task Class 7 History Part 7 October 2021| মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৭ ইতিহাস ৭ অক্টোবর ২০২১
১. স্তম্ভের সাথে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
২. শূন্যস্থান পূরণ করাে :
২.১ আদিল শাহের প্রধানমন্ত্রী হিমু ____________দখল করেছিলেন।
উত্তর:- দিল্লী শহর।২.২ আকবর__________ যুদ্ধে আফগানদের হারিয়ে দেন।
উত্তর:- পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে (১৫৫৬)২.৩ মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়_________আমলে।
উত্তর:- শাহ জাহানের।২.৪ মুঘলরা বিজাপুর ও গােলকোন্ডা দখল করে_____________রাজত্বকালে।
উত্তর:- ঔরঙ্গজেবের৩. দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ ‘জাবতি' কী?
উত্তর:- ভারতবর্ষ ছিল কৃষিনির্ভর দেশ। তাই ভালভাবে শাসন পরিচালনা করতে হলে ভূমি – রাজস্ব ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়ােজন ছিল। আলাউদ্দিন খলসিব আমল থেকেই রাজস্বেরপরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য জমি জরিপ করার বা মাপার ব্যবস্থা ছিল। পরে শেরশাহের সময়ও আমি মাপা হয়। আকবর নতুন করে জমি জরিপ করান। জমি জরিপের ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণ করার পদ্ধতিকে বলা হয় “ সাবতি " | ‘জাবত’ মানে নির্ধারণ।
৩.২ ‘মনসব’ কী?
উত্তর:- আকবর সামরিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযােজন করেন। সেটি ছিল তাঁর মনসবদারি ব্যাবস্থা। আকবরের শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক পদ গুলিকে বলা হতাে মনসব।৩.৩ বারাে-ভূঁইয়া নামে কারা পরিচিত ছিলেন?
উত্তর:- মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গিরের সময়ে বাংলায় যে বারােজন হিন্দু জমিদার এবং আফগানবা মুঘলদের বিরুদ্ধে বহুবার বিদ্রোহ করেছিলেন, তাঁদের একসঙ্গে বারাে ভূঁইযা' বলা হত। বারােভূঁইয়া’বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এদের সংখ্যা ছিল বারাে থেকে অনেক বেশি। বাবাে ভূঁইয়াদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিলেন - প্রতাপাদিত্য, চাঁদ রায়, কেদার রায়, ইশা খান প্রমুখ ।
৪. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :
৪.১ আবুল ফজল ও আবদুল কাদির বদাউনি কারা ছিলেন?
উত্তর:-
আবুল ফাজল ও আবদুল কাদির বাদাউনি:-
আকবরের আমলের এক বিখ্যাত ঐতিহাসিক ছিলেন আবুল ফজল আল্লামি (১৫৫১-১৬০২ খ্রিঃ)। তাঁর লেখা আকবরনামায় তিনি আকবরের প্রশংসাইকরেছেন।কিন্তু যে কোনাে সময়ের ইতিহাস জানলে তাহলে শুধু ভালাে কথা জানলেই হয়না। সে যুগের সমস্যার কথাও জানতে হয় ।এই ধরনের সমালােচনা পাওয়া যায় সে যুগের আর একজন ঐতিহাসিক আবদুল কাদির বদাউনির (১৫৪০-১৬১৫ খ্রিঃ) মুন্তাখাবউৎ তওয়ারিখ বইতে।এঁরা দুজনেই মুঘল দরবারে এসেছিলেন ১৫৭৪ খ্রিস্টাব্দে। কিন্তু আবুল ফজল হয়ে উঠেছিলেন আকবরের প্রিয় পাত্র।একই ঘটনার দু-ধরনের বিবরণ পাওয়া যায় এঁদের দুজনের লেখায়।
৪.২ তুমি কী মনে করাে যে রাজপুত নীতির দ্বারা মুঘলরা ভারতীয় শাসকদের মুঘল প্রশাসনের অঙ্গীভূত করেছিল?তােমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর:- মুঘল বাদশাহ হুমায়ুন বুঝেছিলেন যে, হিন্দুস্তানের ক্ষমতা দখল করতে গেলে রাজপুত রাজাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালাে রাখা দরকার। কারণ রজপুতরাই ছিল উত্তর ভারতের বিশাল অঞ্চলের জমিদার । পরে এই ধারণা থেকেই বাদশাহ আকবর মৈত্রী ও যুদ্ধনীতির সাহায্যে রাজপুতদের মনসবদারি ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে এলেন । খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহ জাহান আকবরের রাজপুত নীতিকেই অনুসরণ করেছিলেন। জাহাঙ্গিবের আমলে মেওয়াড়ে মুঘলদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। রানা প্রতাপের ছেলে অমর সিংহ উঁচু মনসব পেয়েছিলেন। শাহজাহানের আমল রাজপুত সর্দাররা দূর মধ্য এশিয়াতেও লড়াই করতে গিয়েছিল। এই আমলেও বাজপুতদের উঁচু পদ দেওয়া হতাে।ঔরঙ্গজেবের সময়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় বাজপুতরা মুঘল মনসবদারি ব্যবস্থার আওতায় এসেছিল। অম্ববের মির্জা রাজা জয়সিংহ ছিলেন বঙ্গজেবের বিশ্বস্ত অভিজাতদের মধ্যে একজন মারওয়াড়ের রাঠোর রাজপুত রানা যশােবন্ত সিংহ প্রথমে বাদশাহের বিরােধী ছিলেন। তবে পরে তিনি মােটা রকমের মনসব পেয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পরে উত্তরাধিকার নিয়ে মারওয়াড়ের রাজধানী যােধপুবে গন্ডগােল শুরু হয়।মুঘলরা
ওই রাজ্যটি পুরােপুরি হাতে নিয়ে নেয়। এর ফলে শুরু হয় রাঠোর যুদ্ধ (১৬৭৯ খ্রিঃ ) । এই যুদ্ধে গােড়ার দিকে মেওয়াড় বাস্য মারওযাডের পক্ষে ছিল। রাঠোর যুদ্ধ মুঘলদের পক্ষে লাভজনক হয়নি। উপরন্তু , আকবর জিজিয়া কর তুলে নেওয়ার একশাে বছর পরে ঔরঙ্গজেব আবার জিজিয়া কর চাপিয়েছিলেন (১৬৭৯ খ্রিঃ)। অর্থাৎ , আকবর থেকে ঔরঙ্গজেব পর্যন্ত মুঘলদেব রাজপুত নীতিতে অনেক মিল ছিল। আবার কোনাে কোনাে দিকে অমিলও ছিল।