Model Activity Task Class 7 Bengali Part 7 October 2021| মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস ৭ বাংলা ৭ অক্টোবর ২০২১
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ ‘তার চলবার ভঙ্গিটি বড়াে মজার।-কার চলবার ভঙ্গিটি বড়াে মজার? তার চলার ভঙ্গি প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক কী জানিয়েছেন?
উত্তর: বিশিষ্ট অধ্যাপক এবং প্রাণীবিজ্ঞানী শিবতােষ মুখােপাধ্যায় -এর লেখা 'কার দৌড় কদূর' প্রবন্ধে প্রাণীজগতের অতি ক্ষুদ্র প্রাণী অ্যামিবার চলার ভঙ্গিটি বড় মজার।
* প্রাবন্ধিক তার চলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে গিয়ে জানিয়েছেন যে , সে তার দেহের একটা অংশকে সামনের দিকে এগিয়ে দেয় তারপর শরীরের প্রােটোপ্লাজম কে তার মধ্যে ঠেলে দেয় এই ভাবে সে অদ্ভুত ভাবে এগিয়ে যায়।
১.২ ‘কার নাম দুন্দুভি? কাকে বলে অরণি ? – প্রশ্ন দুটি তােমাকে করা হলে তুমি কী উত্তর দেবে?
উত্তর: কবি সুকুমার রায় রচিত নােট বই কবিতায় ‘দুন্দুভি’ ও ‘অরণি’ কথা দুটি আমার পেয়েছি। দুন্দুভি শব্দের অর্থ হলাে ‘ঢাক’ এবং অরণি শব্দের অর্থ হলাে যে কাঠে আগুন জ্বলে বা চকমকি পাথর বা চিএক গাছ ।
১.৩ ‘ওই পাহাড়টার নাম জানাে?– প্রশ্নকর্তার পরিচয় দাও। তিনি কাকে এই প্রশ্ন করেছেন? শ্রোতা তার উত্তরে কী জানিয়েছেন?
উত্তর: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বিরচিত ‘মেঘ-চোর’ গল্পে পুরন্দর চৌধুরি বিখ্যাত বৃষ্টিবিঞ্জানী ও আবহাওয়াবিদ।
* পুরন্দর চৌধুরি অসীমাকে এই প্রশ্ন করেছিলেন।
* আসিমা ইতিহাসের ছাত্রী হলেও ভুগােলটাও অসীমা ভালাে জানত| তাই অকপটে সে জবাব দেয় পাহাড়টি হল মাউন্ট চেম্বারলিন যেটা আলাস্কায় অবস্থিত আর তার পাশের কুয়াশায় ঢাকা হ্রদটি হল শ্ৰেভার লেক এটাও সে জানিয়েছিলাে|
১.৪ পুলিনবিহারী সেন ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে' গানটি রচনার উপলক্ষ জানতে চেয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চিঠি লিখলে তিনি কী উত্তর দিয়েছিলেন?
উত্তর: পুলিনবিহারী সেন গানটি রচনার উদ্দেশ্য জানতে চেয়ে রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লিখলে রবীন্দ্রনাথ গানটি রচনার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন | যে বৎসর ভারতসম্রাট আগমনের আয়ােজন চলছিল সেই বছর রাজ্যসরকারে প্রতিষ্ঠাবান কোনও বন্ধু রবীন্দ্রনাথকে সম্রাটের জয়গান রচনার অনুরােধ জানিয়েছিলেন । এই শুনে রবীন্দ্রনাথের মনে উত্তাপের সঞ্চার হয়েছিল। তারই প্রবল প্রতিক্রিয়ায় রবীন্দ্রনাথ : জনগণমন অধিনায়ক ' গান রচনা করে ভারত ভাগ্যবিধাতার জয় ঘােষণা করেন।
রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য থেকে প্রমাণিত হয়:-
ক। সম্রাট পঞ্চম জর্জের ভারতে আগমনের সময় এই গানটি রচিত হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তিনি তাঁর জয়ধ্বনি করেননি।
খ |রবীন্দ্রনাথ পঞ্চম জর্জকে ভারতের ভাগ্যবিধাতা বলে মানেননি। তিনি মনে করেছেন , ভারতবর্ষ ভাগ্য নির্ধারণ কখনও ইংরেজ হতে পারে না|
গ। রবীন্দ্রনাথ স্পষ্টই জনগণকেই ভারতের ভাগ্যবিধাত রূপে ঘােষণ করেছেন।
১.৫ ‘ভেসে যায় নামগুলি’ – কোন্ নামগুলি, কোথায়, কেন ভেসে যায়?
উত্তর: কামিনী রায় রচিত ‘স্মৃতিচিহ্ন' কবিতায় যারা মানুষের উপকারের কথা না ভেবে নিজেদের স্মরণীয় রাখার জন্য বিশাল সৌধ নির্মাণ করেছিল তাদের নাম গুলি ভেসে যায়।
* কালস্রোতে নাম গুলি ভেসে যায়।
* আলােচ্য উদ্ধৃতিটির মধ্য দিয়ে কবি বােঝাতে চেয়েছেন যে, সাম্রাজ্যের ক্ষমতালােভী শাসকের দল কেবলই নিজেদের ক্ষমতার দম্ভে বিশাল বিশাল প্রাসাদ বা অট্টালিকা নির্মাণ করেছে, তাতে মানুষের কোনােই উপকার হয়নি। তাই মানুষের মনে তাদের কোনােই জায়গা হয়নি। একসময় কালের নিয়মে সেই প্রাসাদ বা অট্টালিকাগুলি ধ্বংসস্তৃপে পরিণত হয়েছে এবং তাদের নাম কালের স্রোতে ভেসে গিয়েছে৷
২. নির্দেশ অনুসারে নীচের ব্যাকরণগত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
২.১ বাক্যে প্রয়ােগ করাে :
২.১.১ ঝিরঝির
উত্তর:- সারারাত ধরে ঝিরঝির করে বাতাস বয়ে চলেছে।
উত্তর:- বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর।
উত্তর:- বাচ্চাগুলো খিল খিল করে হাসছে।
২.২ নীচের বাক্যগুলিতে শব্দদ্বৈতগুলির প্রয়ােগ বৈশিষ্ট্য দেখাও :
২.২.১ ঠেলাঠেলির মধ্যে না যাওয়াই ভালাে।
উত্তর:- আলােচ্য বাক্যে 'ঠেলাঠেলি' একটি শব্দদ্বৈত এবং এর মধ্য দিয়ে ‘অস্বাচ্ছন্দ্য অর্থ (ভিড়ের মধ্যে) প্রকাশিত।
২.২.২ দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে এল।
উত্তর:- উত্তর: প্রদত্ত বাক্যে 'দেখতে দেখতে' একটি শব্দদ্বৈত এবং এর মধ্য দিয়ে ‘সমকালীনতা' ভাবটি প্রকাশিত