Model Activity Task 2021 Class 7 Bengali Part 6|| মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2021 ক্লাস 7 বাংলা পার্ট 6||
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ ‘বাইরের চলাটা আসল নয়।’ – প্রকৃত চলা কোনটি?
উত্তর : শিবতােষ মুখােপাধ্যায় প্রণীত 'কার দৌড় কতদূর' নামাঙ্কিত রচনায় লেখকের বিভিন্ন প্রাণী চলাচলের প্রতি নজর দিয়েছে। তার মনে হয়েছে বাইরে চলাটা একমাত্র সত্য নয়। তিনি জানিয়েছেন- এই সব চলার মাঝে যা সত্য কারের চলা তা হল মানুষের চলা। মানুষের মনের গতিবেগ আলাের গতিবেগ সম্পন্ন। একমুহূর্তেই মানুষ বিশ্বময় ঘুরে আসতে পারে। তার কোথাও বাধা নেই। কোন নিষেধ নেই, মন যেন তার হ্রদ লেখক জানিয়েছেন ‘মন রথ অবাধা।১.২ ‘জবাবটা জেনে নেব মেজদাকে খুঁচিয়ে। - কোন্ প্রশ্নের জবাব মেজদার কাছে মিলবে?
উত্তর : নােট বই কবিতায় বক্তা তার মেজদার কাছ থেকে ঝােলাগুড় কিসে দেয়, এই প্রশ্নের উত্তর জানবেন।১.৩ ‘আপনি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন। – কোন্ কথার অবতারণাকে বক্তার ‘ঠাট্টা মনে হয়েছে?
উত্তর: এই বিশাল হ্রদের জল যদি মেঘ হয়ে যায়, সেই মেঘ থেকে অন্য জায়গায় বৃষ্টি হবে। একসঙ্গে হঠাৎ বৃষ্টি বেড়ে গেলে পৃথিবীর দারুণ কোনাে ক্ষতি হয়ে যাবে কী আর হবে! সাইবেরিয়ায় বড়জোর এক ইঞ্চি বেশি বরফ জমবে! তখন অসীমা হেসে ফেলে বলল, আপনি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন।১.৪ জেমস এইচ. কাজি কে ছিলেন?
উত্তর :১৯১১ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময় অর্থাৎ ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি দক্ষিণ ভারত পরিক্রমা বেরিয়েছিলেন। সেখানে "থিয়সফিক্যাল কলেজ” এর অধ্যক্ষ এবং রবীন্দ্রনাথের বন্ধু ছিলেন জেমস এইচ, কাজিনস।১.৫ ‘এ ছবি আমি পরেও দেখেছি। – কোন্ দৃশ্যবর্ণনা প্রসঙ্গে একথা এসেছে?
উত্তর : মুখ ভর্তি পান নিয়ে গলায় বাঁধা হারমােনিয়াম বাজাতে বাজাতে কাজী নজরুল গাইছেন- এখানে এই দৃশ্যপটের কথা বলা হয়েছে।১.৬ ‘তাদের রাজত্ব হের অক্ষুন্ন কেমন কাদের রাজত্ব কেন অক্ষুগ্ন রয়েছে বলে কবি মনে করেন?
উত্তর: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি কামিনী রায় প্রণীত স্মৃতিচিহ্ন নামাঙ্কিত কবিতায় যারা মনে করে বিশাল অট্টালিকা তৈরীর মধ্যে দিয়ে নিজেদের নাম এই ধরণীর বুকে রেখে যাবেন, তারা ভুল করেছেন। কেননা আর্থিক সমৃদ্ধির কারণে কোন মানুষ পৃথিবীতে নিজের নাম স্থায়ী করে রাখবেন এটা আদৌ সম্ভব নয়। তাই তাদের রাজত্ব অক্ষুন্ন থাকবেনা।১.৭ ‘নীরব এখানে অমর কিণপাড়া'। – কিষাণপাড়াকে ‘অমর’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর :উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত “চিরদিনের কিষাণপাড়ার প্রকৃতি এবং মানুষের জীবন শান্ত। কোনােরকম ব্যস্ততা সেখানে নেই,নেই কোন কোলাহল। দুর্ভিক্ষের পরেও কিষাণপাড়ায় মানুষ আবার কাজের মধ্য দিয়ে জেগে ওঠে। নিজ নিজ পেশায় কাজ করে চলে। দুর্ভিক্ষের হতাশা বা বিপন্নতা এখানে জীবনকে থামিয়ে দিতে পারে না। তাই কিষাণপাড়াকে কবি অমর বলেছেন।২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
২.১ ‘জীবনের ৪৪০ তে মানুষ বিশ্বকীর্তি স্থাপনা করেছে। – মানুষের সেই কীর্তির কথা ‘কার দৌড় কদূর’ রচনায় কীভাবে বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর :শিবতােষ মুখােপাধ্যায় প্রণীত ‘কার দৌড় কদূর’ নামাঙ্কিত রচনায় লেখক বলেছেন- মানুষ এখন নিজে চলেই ক্ষান্ত নয়। সে অন্য সবকিছুকেও চালাতে সমান উৎসুক। জাহাজ, রেল, প্লেন, জেট। এখন মানুষ আকাশটাকে নতুন করে ঘৌড়দৌড়ের মাঠ করে তুলেছে। সেখানে নতুন বাজি ধরেছে যে সে ত্রিভুবনেশ্বর হবে, স্বর্গমর্ত তােলপাড় করবে। তাই জীবনের ৪৪০ তে মানুষ বিশ্বকীর্তি স্থাপন করেছে।২.২ ‘তুমি একটা স্পাই'।– কোন্ পরিস্থিতিতে বক্তার একথা মনে হয়েছে?
উত্তর : স্পাই' শব্দের অর্থ হল চর' অর্থাৎ গুপ্ত সংবাদ আদানপ্রদান করে, কিন্তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত মেঘ-চোর গল্পে আলােচ্য উক্তিটিতে স্পাই' বলা হয়েছে অসীমাকে বলেছেন বৃষ্টিবিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরি অসীমাকে স্পাই বলেছিলাে।২.৩ সরলা দেবী তাঁর জীবনের ঝরাপাতা’ গ্রন্থে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্পর্কে কোন্ তথ্য পরিবেশন করেছেন?
উত্তর :আমার সােনার বাংলা’ গানটি প্রথম গাওয়া হয় ১৯০৫, আগস্ট মাসের ২৫ তারিখে। এই গানটির সুরের বিষয়ে সরলাদেবী তার জীবনের ঝরা পাতা' গ্রন্থে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কর্তা দাদামহাশয় চুঁচুড়ায় থাকার সময় সময়মতাে বােটের মাঝিদের কাছ থেকে অনেকগুলি বাউল আঙ্গিকের গান সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন— যা কিছু শিখতুম তাই রবিমামাকে শােনাবার জন্য প্রাণ ব্যস্ত। থাকত তার মতাে সমজদার আর কেউ ছিল না। রবীন্দ্রনাথ এই গানগুলি মন দিয়ে শুনতেন এবং সেই সুর অনুসারে। নিজের গান রচনা করতেন। আমার সােনার বাংলা’ হল তেমন একটি গান। যা বােটের মাঝির কাছ থেকে আহরিত এবং সরলা দেবীর সুরে বসানাে।২.৪ ‘এই ছিল তখনকার কোনাে স্বদেশি মিটিং-এর রীতি’ – রীতিটি কী?
উত্তর : রামকুমার চট্টোপাধ্যায় কাজী নজরুলের গান' শীর্ষক গদ্যাংশে যে সময়ের কথা বলেছেন, সেই সময়ে যে-কোনাে স্বদেশি মিটিং –এর রীতিই ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বক্তৃতার আগে কাজী নজরুল ইসলামের সংগীত পরিবেশন।২.৫ ‘সবুজ ফসলে সুবর্ণ যুগ আসে।– উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর : উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রণীত চিরদিনের কবিতা থেকে। ১৩৫০ সালে দুর্ভিক্ষের দিনে মানুষের কি অসহায় অবস্থা হয়েছিল সেই গল্পের কথা বলা হয়েছে। দুর্ভিক্ষের পর আবার নতুন করে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা শুরু হয়। চারিদিকে দেখা যায় প্রাণের স্পন্দন। সকাল ঘােষিত হয় পাখির ডাকে। কামার, কুমাের, তাঁতী একসঙ্গে কাজ করে সারাটা দুপুর চাষী জমিতে পড়ে থাকে। কৃষক বধূ জল আনতে গিয়ে থমকে দাড়ায় পথে। তার চোখে পড়ে সবুজ ফসলের সুবর্ণ যুগ।৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ ‘ঋ, র, য এই তিন বর্ণের পরের শব্দের মধ্যে ন>ণ হয়। প্রতিক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তর:- ঋ, র, য এই তিন বর্ণের পরের শব্দের মধ্যে ন>ণ হয় যেমন- ঋণ, বর্ণ, সহিষ্ণু।৩.২ ‘পিতৃ ও মাতৃ শব্দের সঙ্গে স্বস্ শব্দের যােগ হলে স্বস্ শব্দের প্রথম স্ হয় ষ– উদাহরণ দাও।
উত্তর:- পিতৃ ও মাতৃ শব্দের সঙ্গে স্বস্ শব্দের যােগ হলে স্বস্ শব্দের প্রথম স্ হয় ষ। যেমন - মাতৃষ্বাসা, পিতৃষ্বাসা।৩.৩ ভাবপ্রকাশক ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রয়ােগে একটি বাক্য রচনা করাে।
উত্তর:- ভাবপ্রকাশক ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রয়ােগে একটি বাক্য রচনা হল -অর্পিতা কে হঠাৎ দেখে বুকটা ধড়াস করে উঠলো।
Tags
Class 7 Part 6