১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ বােতাের দেখা পাওয়া নাকি সবসময়ই ভালাে’ – ‘বােতাে’র পরিচয় দাও।
উত্তর:- অমলেন্দু চক্রবর্তীর লেখা 'অ্যামাজনের জঙ্গলে গল্পে বােতাে সম্পর্কে অ্যামাজন জঙ্গলে এই বিশ্বাস ছিল যে তিনি অ্যামাজনের দেবতা এবং অঞ্চলটিকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন। গল্পে কথকের চোখে বােতাে খুব লম্বা আকৃতির জলজ প্রাণী। তার নাক, ঠোঁট খুব সরু। লম্বায় এক দেড় হাত এবং বােতাের মাথা মস্ত বড় এবং মস্তিষ্ক মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও বড়।
১.২ ‘আমি সাগর পাড়ি দেবাে’ কবিতাংশটি কোন্ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর:- কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা 'আমি সাগর পাড়ি দেবাে কবিতাটি তারই লেখা 'পুতুলের বিয়ে' নাটকের 'সাত ভাই চম্পা' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
১.৩ স্যার ক্লেমেন্টস মার্কহ্যাম কে ছিলেন?
উত্তর:- নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়ের লেখা 'দক্ষিণ মেরু অভিযান' গল্পে ইংল্যান্ডে রয়াল জিওগ্রাফিকাল সােসাইটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন স্যার ক্লেমেন্টস মার্কহ্যাম।
১.৪ ‘সে আমি পারব না।' – বক্তা কী পারবে না?
উত্তর:- লীলা মজুমদারের লেখা 'আলাে' নাটকে উক্ত বক্তব্যটি অর্থাৎ শম্ভুকে তার পিসি এক সন্ধ্যাবেলা দাদু ফিরছে না দেখে বারবার খুঁজতে যেতে বললেও সে ভয়ে যেতে চাইছিল না। এখানে শম্ভুর যেতে না পারার কথাই বলা হয়েছে।
১.৫ ‘কিন্তু কিছু হলাে না। কোন প্রসঙ্গে কথক একথা বলেছে?
উত্তর:- মণীন্দ্র গুপ্তের লেখা 'অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায় শীর্ষ গল্পে দুই তিন দিন ধরে একনাগাড়ে বৃষ্টি থামছে না দেখে কথকের পিসতুতাে ভাই পরামর্শ দিয়েছিল একশােটা পুর কাগজে লিখে পােড়ালে নাকি বৃষ্টি থেমে যায়। সেইমতাে কথক কাশিপুর, চাদপুর,ফতেপুর, বদরপুর, শিবপুর, অনুরাধাপুর এবং পৃথিবীর যত পুর আছে সেগুলাে লিখে পুড়িয়েছিল কিন্তু তাতেও বৃষ্টি থামেনি।
১.৬ ধলেশ্বরী খ্যাপা নদী। – একথা বলা হয়েছে কেন?
উত্তর:- রানী চন্দের লেখা 'আমার মায়ের বাপের বাড়ি' শীর্ষক গল্পে ধলেশ্বরী নদীকে ক্ষ্যাপা নদী বলা হয়েছে কারণ, নদীটি নিজের চলার তাল ঠিক রাখতে জানে না। নদীটির বেগ ও স্রোত প্রবল, তার বিশাল এলােপাথাড়ি ঢেউ আছড়ে পড়ে নৌকার গায়ে।
১.৭ ‘মন উন্মন্ গাে।' – কার মনের এমন পরিস্থিতি?
উত্তর:- সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লেখা 'দূরের পাল্লা' কবিতায় নৌকার তিনজন মাঝি মাল্লার মনের এরকম পরিস্থিতি।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
২.১ ‘উবা আমার চোখের দৃষ্টি দেখে বুঝতে চায় ... উবা কী বুঝতে চায়?
উত্তর:- অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর লেখা 'অ্যামাজনের জঙ্গলে' গল্পে উবা লেখকের চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে চায় যে লেখক কে? তিনি কোথা থেকে এসেছেন? তিনি কোন পৃথিবীর মানুষ? এবং সেই পৃথিবীটা কিরকম? উবা লেখকের চোখে বহুদূর যেতে চায়।
২.২ বর্শা দিয়ে বিধবে তারা, রাজ্যে আমার এলে। কারা এমনটি করবে?
উত্তর:- কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা 'আমি সাগর পাড়ি দেবাে' কবিতায় নৌসেনা, সিন্ধু গাজী, মােল্লা মাজী, জেলেরা জলদস্যু এবং সমুদ্রের হিংস্র জন্তুদের বর্শা দিয়ে বিধবে, যদি তারা রাজ্য আক্রমণ করে।
২.৩ ‘যাত্রা শুরু হলাে সেই নির্দিষ্ট দেশের দিকে।' – ‘দক্ষিণমেরু অভিযান’ রচনাংশ অনুসরণে সেই অভিজ্ঞতার বিবরণ দাও।
উত্তর:- নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়ের লেখা 'দক্ষিণ মেরু অভিযান' গল্পে স্কট তার সহযাত্রীদের নিয়ে 1902 সালের নভেম্বর মাসে 19 টি কুকুর সঙ্গে নিয়ে স্লেজ গাড়িতে চেপে দক্ষিণ মেরুর দিকে যাত্রা শুরু করেন। পথে স্কট ও তার সাথীদের তীব্র তুষারঝড়ের মুখােমুখি হতে হয় কোনরকমে প্রাণ হাতে নিয়ে তারা কিং এডওয়ার্ড দ্বীপে ফিরে আসেন।
২.৪ ‘আলাে’ নাটকে বাদুড়দের গানের বক্তব্যটি কী?
উত্তর:- লীলা মজুমদারের লেখা 'আলাে' নাটকে বাদুরদের গানের বক্তব্যটি হল গুহাতে সোঁদা গন্ধ এবং সেই গুহা বন্ধ। সেখানে অন্ধকারে তারা সাদা দাঁত বের করে আর কালাে ডানা মেলে বসে আছে। তারা আলাে সহ্য করতে পারে না।
২.৫ ‘অ্যাডভেঞ্চার : বর্ষায়’ রচনাংশে কথক তাঁর ছােটোপিসিমার কথা কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তর:- মণীন্দ্র গুপ্তের লেখা 'অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায় শীর্ষক গল্পে ছােট পিসিমা ছিলেন বিধবা। তিনি একা তার ভিটে এবং তার ছেলেদের আগলে রাখতেন। তার প্রাণ শক্তি ছিল প্রবল। তিনি প্রচণ্ড কাজ করতেন এবং রাতে লন্ঠন জ্বালিয়ে পাহারা দিতেন। চোর-ডাকাত প্রতিবেশী এবং তার সন্তানেরা কেউই তার সাথে এঁটে উঠতে পারত না।
২.৬ ‘নৌকো পাড়ে লাগে। – তখন ভাইবােনেরা কী করে?
উত্তর:-রানী চন্দের লেখা 'আমার মায়ের বাপের বাড়ি' গল্পে যখন নৌকা পাড়ে লাগে তখন ভাই বােনেরা নৌকা থেকে লাফিয়ে পড়ে। এরপর তারা নলখাগড়ার বনে এবং বালির চরে ছােটাছুটি করে এছাড়াও তারা গত রাতে রান্না করা লুচি, আলুর দম, হালুয়া ইত্যাদি জলের ধারে বসে খেয়ে হাত মুখ ধুয়ে আবার নৌকায় উঠে পড়ে।
২.৭ ‘দূরের পাল্লা’ কবিতায় নৌকো থেকে কোন্ দৃশ্য চোখে পড়ে?
উত্তরঃ- সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের লেখা 'দূরের পাল্লা' কবিতায় দূরে যাত্রা করতে যায় তিনজন মাল্লা। নৌকা চালানাে শুরু করে সারা রাত দিন ধরে তারা নৌকা চালায়। দিনের বেলা তাদের চোখে পড়ে নদীর ধারে জমে থাকা জঞ্জাল, গজিয়ে ওঠা ঝােপঝাড়।নদীর জল শৈবালে পরিপূর্ণ করে জেগে থাকা কঞ্চির বন, বন-হাঁসের তাদের ডিম শ্যাওলায় ঢেকে ফেলার দৃশ্য দেখা যায়। পানকৌড়ি জলে ডুব দেয়। নদীর পাড়ে দ্রুত স্নান সারে ঘােমটা পরা বউ। ধীরভাবে চলতে থাকা নৌকা থেকে এইসব দৃশ্য মাঝিদের চোখে পড়ে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ মাসুদুর রহমান ছিলেন দক্ষ সাঁতারু। (কর্তাখণ্ডকে বাড়াও)
উত্তর:- ভারতবর্ষের বিখ্যাত সাঁতারু মাসুদুর রহমান ছিলেন দক্ষ সাঁতারু।
৩.২ সৌগত বই দিলাে। (ক্রিয়াখণ্ডকে বাড়াও)
উত্তর:- সৌগত বাংলা বই দিলাে।
৩.৩ নির্দেশ অনুযায়ী কর্ম এবং ক্রিয়া বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করে বাক্য রচনা করাে :
উত্তর:- সব ভারতীয়ই ভারতবর্ষেকে ভালোবাসে।