Model Activity Task Class 8 Bengali Part 5 2nd Series (মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস 8 বাংলা পার্ট 5)
নীচের প্রশ্নগুলি উত্তর দাও :
১. ‘দাঁড়াও’ কবিতায় মানুষের পাশে দাঁড়ানাের আততি কীভাবে ধরা দিয়েছে?
উত্তর:- উত্তর দাঁড়াও কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন ও বিবেকবান মানুষকে অসহায় , নিপীড়িত, শােষিত মানুষের পাশে কখনও পাখির মত আবার কখনও ভেসে , ভালােবেসে দাঁড়ানাের আর্তি জানিয়েছেন।
২. ‘লাঠি ধরলে বটে! বক্তা কে? কার সম্পর্কে তার এই উক্তি? উক্তিটির মধ্য দিয়ে তার কোন্ মনােভাবের পরিচয় পাও?
উত্তর:- কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যাযের লেখা ‘পল্লীসমাজ থেকে উপরিউক্ত অংশটি নেওয়া হয়েছে। এখানে বক্তা হলেন বাঁধ রক্ষার দায়িত্বে নিয়ােজিত ব্যাক্তি আকবর আলি।
এই উক্তিটি করা হয়েছিল বাঁধ ভেঙ্গে গ্রামবাসীর কৃষিজমির রক্ষাকর্তা ছােটবাবু অর্থাৎ রমেশ সম্পর্কে।
দুদিনের একটানা বৃষ্টিতে সমগ্র গ্রামের কৃষকদের একমাত্র অবলম্বন একশাে বিঘা আবাদি জমি যখন জলের তলায় তখন সেই জমিকে রক্ষা করার জন্য ঘােষাল-মুখুয্যেদের দক্ষিণ দিকের বাঁধটি কেটে দেওয়া ছিল আবশ্যিক। সেই বাঁধ কাটা নিযেই ছােটবাবু ও আকবর আলির মধ্যে হযেছিল লাঠির লড়াই। আর আকবর আলির এই উক্তির মধ্য দিয়ে এখানে জনদরদি ছােটবাবুর মহানতা ও উদারতাই প্রকাশ পেয়েছে।
৩. বক্তা কে? কার সম্পর্কে তার এই উক্তি? উক্তিটির মধ্য দিয়ে তার কোন্ মনােভাবের পরিচয় পাও “প্রাণ আছে, প্রাণ আছে" - ছন্নছাড়া' কবিতায় এই আশাবাদ কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে?
উত্তর:- কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত ‘ছন্নছাড়া কবিতায় প্রাণেরই জয়গান গেয়েছেন। সমাজের যেসমস্ত চালচুলােহীন ছেলেরা পাড়ার এমাের ওমাের ঘুরে বেড়ায়। না আছে তাদের বর্তমান না আছে তাদের ভবিষ্যৎ। তারা শুধু ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু তারা সাধারন মানুষের সমস্যায় প্রানপনে ঝাপিয়ে পড়ে। বেওয়ারিশ ভিখিরি, যার কেউ নেই তার সাহায্যের জন্যও, প্রান বাঁচানর এগিয়ে যায় এই ছন্নছাড়া ছেলেরা আর চিৎকার করে উঠে প্রাণ আছে। প্রাণ থাকাটাই এই পৃথিবীতে সবচেয়ে আশ্চর্য সম্পদ এবং এক ক্ষয়হীন আশা ও মৃত্যুহীন মর্যাদা। যা রক্ষার জন্য এই ছন্নছাড়া ছেলের দলও সব সময় তৈরি থাকে।
৪. ‘শিমুল গাছ অনেকে দেখিয়াছ।– ‘গাছের কথা’ গদ্যাংশে শিমুল গাছের প্রসঙ্গ লেখক কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তর:- বিজ্ঞানী তথা লেখক জগদীশচন্দ্র বসু ‘গাছের কথা গদ্যে গাছের বংশ বিস্তারের কথা বলেছেন। বীজের কঠিন ঢাকনার মধ্যে বৃক্ষশিশু কীভাবে নিরাপদে থাকে সেকথা বলেছেন। আর সেই বীজই একস্থান থেকে অন্যস্থানে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা বােঝাতে গিয়ে শিমুল গাছের প্রসঙ্গ স্মরণ করেছেন। প্রখর রৌদ্রে শিমুল ফল ফেটে তুলাের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বীজ একস্থান থেকে অন্যস্থানে হাওয়ায় উড়ে উড়ে ছড়িয়ে পড়ে। লেখক ছােটবেলায় এই বীজওয়ালা তুলােকে ধরার চেষ্টাও করেছেন খেলার ছলে।
৫. ‘বিশ্বের বুক ফেটে বয়ে যায় এই গান'– কোন্ হতাশার কান্না বিশ্বজুড়ে বয়ে যায়?
উত্তর:- কবি বুদ্ধদেব বসু ‘হাওয়ার গান কবিতায় হাওয়াদের ব্যাথিত, ক্লান্ত, হতাশাময় দিকটি তুলে ধরেছেন। হাওয়াদের বাড়ি নেই, ঘর নেই। সারাদিন রাত্রি শুধু ঘুরে ঘুরে মরে। পৃথিবীর সব স্থানেই তারা ঘুরে বেড়ায়। কখনও সমুদ্র, কখনও পাহাড় , বন্দর, অরন্য, নগর, প্রান্তর, পার্কের বেঞ্চি, নাট্যশালা সবস্থানেই। কিন্তু কথাও তারা একটু আশ্রয় পায় না। তাদের বাড়ি নেই, দেশ নেই। শুধু কেঁদে কেঁদে মরে । আর এই কান্নার গান, হতাশার গান বিশ্বজুড়ে বয়ে যায়।
৬. ছেলের কথা শুনেই বুকুর মার মাথায় বজ্রঘাত!’ বুকুর কোন্ কথায় তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়লেন?
উত্তর:-বুকুর মা অতিথিদের সামনে এসেই তাদের অভ্যর্থনা করতে শুরু করেছিলেন। আরও যখন মিষ্টি মধুর ও আক্ষেপের কথা চলছিল, তখন বুকু অবাক হয়ে গিয়েছিল। কারণ একটু আগেই তাে তার মা এই অতিথিদের অসময়ে আসা নিয়ে রাগ করে বলছিলেন- ‘বাবারে, শুনে গা জ্বলে গেল! অসময়ে লােক বেড়াতে আসা। ভালাে লাগে না’-বুকুর এই কথা শুনেই তার মা কে অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল।
৭. ‘পাড়াগাঁর দু-পহর ভালােবাসি’ কবিতায় গ্রামজীবন সম্পর্কে কবির যে অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তার পরিচয় দাও।
উত্তর:- কবি জীবনানন্দ দাশ ‘পাড়াগাঁর দু-প্রহর ভালবাসি কবিতায় গ্রামজীবন সম্পর্কে নিজের অনুভুতি অসাধারন বর্ণনার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছেন। রৌদ্রে যেন গন্ধ লেগে আছে কবির স্বপ্নের আর সেই স্বপ্নের কথা কেউ জানে না, শুধুমাত্র প্রান্তরের শঙ্খচিল ছাড়া।রােদের মধ্য দিয়ে সরে যায় নকশাপেড়ে শাড়ি পড়া মেয়েটি। এছাড়াও বুনাে চালতার শাখা গুলাে জলের ওপর নেমে এসেছে, সেই জলেই আবার এক ভাঙ্গা, ঝাঁঝরা ফোঁপরা মালিকহীন এক ডিঙ্গি বাঁধা আছে হিজল গাছের ডালে। কবি এখানে এক শান্তু গ্রামের সজীব চিত্র তুলে ধরেছেন।
৮. এলাহি ব্যাপার সব। - ‘নাটোকের কথা’ রচনাংশ অনুসরণে সেই এলাহি ব্যবস্থাপনার বিবরণ দাও।
উত্তর:- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘নাটোরের কথা’ রচনায় লেখক যখন ট্রেন, স্টিমার যাত্রা শেষ করে নাটোরে পৌঁছালেন তখন নাটোরে সুন্দর সাজানাে বাড়ি, বৈঠকখানা, ঝাড়লণ্ঠন, তাকিয়া, ভালাে ভালাে দামী ফুলদানি, কার্পেট আর এর সঙ্গে আদরযত্ন, আন্তরিকতা ও সমাদার দেখে বলে উঠেছিলেন ‘এলাহি ব্যাপার সব।
৯. ‘গড়াই নদীর তীরে’ কাব্যাংশে প্রকৃতিচিত্র কীভাবে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে?
উত্তর- পল্লিকবি জসীমউদ্দিন ‘গড়াই নদীর তীরে কবিতায় গ্রাম্যজিবনের এক সহজ, সরল, শান্ত প্রকৃতিকে তুলে ধরেছেন। নদীর তীরে অবস্থিত কুটিরটিকে লতাপাতা ফুল যেন মায়ায় জড়িয়ে ধরে রেখেছে। বুনাে ফুল গুলাে হাওয়াতে মাথা দোলায়, সকাল সন্ধ্যা ফোটে। মাচানের ওপর সিম, লাউ, কুমড়াের যেমন ঝার রয়েছে তারই নিচে আবার লাল নটে শাক গুলিকে দেখে মনে হ্য বাড়ির কোন বধূ বেড়িয়েছে। ডাহুক পাখিরা যেমন বেড়াতে আসে মাঝে মাঝে পাখিরাও নির্ভয়ে গাছে গান করে যায়। মটর,মুসুরি, কালজিরা, ধনে সব মিলে যেন এক অসাধারন আলপনার অঙ্কন করেছে। কবির বর্ণনার ছত্রে ছত্রে গড়াই নদীর তীরের গ্রামীণ সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে।
Realy the answer was very usefull and helpfull
ReplyDelete