মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ষষ্ঠ শ্রেণি জুলাই ২০২১(MODEL ACTIVITY TASK ClASS 6 JULY 2021)
বিষয়:স্বাস্থ্য ও শরীরশিক্ষা
শ্রেণি: ষষ্ঠ
১/ বহুর মধ্যে সঠিক উত্তরটি খুঁজে বার করে ( চিহ্ন দাও :
(ক) ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার কোন্ রংটি নীচের দিকে থাকে?
(১) সাদা
(২) সবুজ
(৩) গেরুয়া
উত্তর: (২) সবুজ
(খ) জাতীয় পতাকার সাদা রং কীসের প্রতীক।
(১) ত্যাগ
(২) আনন্দ
(৩) শান্তি ও পবিত্রতা উত্তর: (৩) শান্তি ও পবিত্রতা
(গ) প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। -
(১) ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে
(২) ডাক্তারের দেখার পর
(৩) রােগ থেকে সেরে ওঠার পর
উত্তর: (১) ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে
ঘ) কখন 'স্প্লিট' ব্যবহার করা হয়? -
(১) রক্তপাত।
(২) জ্বর কমাবার জন্য
(৩) অস্থিভঙ্গের ক্ষেত্রে
উত্তরঃ (৩) অস্থিভঙ্গের ক্ষেত্রে
২। উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করাে :
(ক) ভারতের জাতীয় পতাকার সাদা রঙের অংশটির মাঝে নীল রঙের ২৪ কাটাবিশিষ্ট চক্র বসানাে থাকে।
(খ) জাতীয় শােকগ্রকাশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত
থাকার দিনেও জাতীয় পতাকা প্রথমে উঁচুতে তুলে
তারপর দন্ডের অর্ধেক পর্যন্ত নামাতে হবে।
(গ) আহত ব্যক্তির স্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে দ্রুত কৃত্রিম উপায়ে স্বাস-প্রশ্বাস চালানাের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(ঘ) বিদ্যালয়ের প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে কিছু
প্রযােজনীয় ওষুধ থাকা আবশ্যক।
৩| সারণির মধ্যে সমতাবিধান কবােঃ
(ক) জাতীয় পতাকার আদর্শ ব্যবহারবিধিব ছবিসহ একটি
প্রতিবেদন তৈরি করো৷
উত্তর: জাতীয় পতাকার ব্যবহারবিধিঃ
বিশ্বের প্রত্যেক স্বাধীন দেশের নাগরিকরা শিষ্টাচারসম্মত নিয়মশৃঙ্খলা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করে থাকে। জাতীয় পতাকাকে সম্মান দেখাবার প্রকৃত পন্থা হলাে এর ব্যবহারগুণলী শেখা এবং পালন করা।জাতীয় পতাকা দেশের মর্যাদার প্রতীক। পতাকাকে উত্তোলন করা,অবনমন করা, অভিবাদন করা এবং অর্ধাবনমন করার অনুষ্ঠানগুলাে প্রত্যেকের এবং সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। ভারত সরকার এই কারণে জাতীয় পতাকা ব্যবহারের কিছু নিয়ম আইন করে বেঁধে দিয়েছেন নিয়মগুলি হলাে :-
জাতীয় পতাকার ব্যবহারবিধিঃ
১. যেখালেই এই পতাকাটি উত্তোলন করা হবে, সেখানেই একে যতেষ্ট মর্যাদার সঙ্গে স্বতন্ত্রভাবে স্থাপন করতে হবে। মঞ্চের ডানদিকে জাতীয় পতাকা থাকবে। জাতীয় পতাকার ডানদিকে অন্য কোনাে পতাকা খাকবে না। জাতীয় পতাকার বাঁদিকে অন্যান্য পতাকা থাকবে। যে সমস্ত দর্শক মঞ্চের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁদের বাম দিকে অর্থাৎ মঞ্চের ডানদিকে জাতীয় পতাকা থাকবে। জাতীয় পতাকার উচ্চতা অন্যান্য পতাকার থেকে বেশি হবে। জাতীয় পতাকা প্রথমে উত্তোলন করত হবে।
২. যখন পতাকাটি সরকারি ভবনে উত্তোলন করা হবে, তখন রবিবার এবং ছুটির দিনসমেত সপ্তাহের সকল দিনেই সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উড়বে।
৩. জাতীয় পতাকা সবসময় দ্রুতগতিতে দৃপ্তভঙ্গিতে উত্তোলন করা বা ওঠানাে উচিত।
৪. ধীরে ধীরে সৌজন্যের সঙ্গে অবনমন করা বা নামানাে উচিত।এই সময় যদি বিউগল বাজানাে হয় তাহলে সেই বাজনার সময়েই পতাকা ওঠাতে ও নামাতে হবে। পতাকার গেরুয়া রঙের দিক সবসময় উপরে থাকবে।
৫. জাতীয় পতাকা বহন করবার সময় অকুতি অবস্থায় সােজা করে নিতে হবে। কোনাে মিছিলে নিতে হলে মিছিলের সর্বাগ্রে উঁচু করে যােগ্য ব্যক্তিকে ডান কাঁধে পতাকা বহন করতে হবে।
৬. যদি একই লাইনে অন্য পতাকার সঙ্গে জাতীয় পতাকা ওঠানাে হয়, তবে অন্য সব পতাকার থেকে জাতীয় পতাকা সবার উপরে থাকবে।
৭.সাধারণত জাতীয় পতাকা যেসব গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে উড্ডীন রাখা হয় সেখানে জাতীয় শােকপ্রকাশ করতে, কিংবা কোনাে ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের প্রতি সম্মান দেখানাের সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। তবে অর্ধনমিত থাকার দিনেও জাতীয় পতাকা প্রথমে উঁচুতে তুলে তারপর দণ্ডের অর্ধেক পর্যন্ত নামানাে হয়। যদিও জাতীয় দিবসগুলিতে অর্ধনমিত করার শর্তগুলি মানা হয় না৷
৮.বিশেষ বিশেষ জাতীয় দিনে, যেমন প্রজাতন্ত্র দিবসে, স্বাধীনতা দিবসে, জাতীয় পতাকা সর্বসাধারণ ব্যবহার করতে পারে৷
৯. স্কুল-কলেজে,খলার মাঠে, ক্যাম্পে অথবা কোনাে বিশেষ অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে জাতিয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকার প্রতি শপথগ্রহণ এবং পতাকাকে স্যালুট করা এসব নিখুঁতভাবে করা হয়।
১০. জার্ভীয় পতাকার প্রতি শাখস্কুল জাতীয় সভাকায় প্রতি অনুগত্যের যে শাখআলীকার/প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তা হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে সবাই একসঙ্গে কলে এবং তা এইরকম
(খ) তাপ্রবাহজনিত অসুস্থতা থেকে বাঁচাতে কী কী পদক্ষেপগ্ৰহণ করাতে হবে সে বিষয়ে একটি পােস্টার তৈরি করো৷
(১) তাপপ্রবাহের সময় রান্ধায় বেরােলাে এড়িয়ে চলতে হবে।
(২) রােদে স্কুলেবাড়িতে যেতে হলে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বেরােলে স্বাভা, টুলি, মুখে রুমাল ওড়না, হাত-পা ঢাকা হালকা সুতির পােশাক পরতে হবে৷
(৩) যতটা সম্ভব সুতির হালকা ঢিলেঢালা জামাকাপড় পরতে হবে।
. (৪) রােদে বেরােনাের আগে পর্যন্ত পরিমাণ জল খেয়ে বেরোতে হবে। ঘরের বাইরে বেল্লোল সবসময় নিরাপদ পানীয় জল সঙ্গে রাত হবে৷
(৫) কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর ও. আর. এস. বা নুন-চিনি মিশ্রিত নিরাপদ পানীয় জল বা ফলের রস পান করতে হবে।
(৬) একটানা অনেকক্ষণ রোদে লা হেঁটে প্রতি আধ ঘন্টা অন্তর কিছুক্ষণ গাদের দ্বয়ায় বা বিশ্রামালয়ে বিশ্রাম নিতে হবে বা
তুলনামূলক ঠান্ডা জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে।
(৭) বাড়ির খাবার বা মিড-ডে মিলের খাবারে প্রতিদিন অতিরিক্ত তেলমশলা ছাড়া সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। রসালাে ফল ও ওই ঋভুর যে যে ফল পাওয়া যায় তা খেতে হবে৷
(৮) বাড়িতে বা স্কুলের রান্না করা খাবারে যাতে পচন না ঘটে তার জন্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। খালি পেটে রােদে
বাড়ির বাইরে বেরােনাে বিপদজনক।
(৯) বাড়ির বাইরে বেরােলে ঘাম মুছে ফেলার রুমাল রাখতে হবে। বাড়িতে তৈরি লস্যি, ঘােল, ফলের রস খেতে হবে।
(১০) রােদে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে জল, বরফ ও ঠান্ডা বাতাসের সাহায্যে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে হবে। রােগী অজ্ঞান হারালে কৃত্রিম শ্বাসপ্রক্রিয়া চালু করতে হবে এবং দ্রুত স্থানীয় চিকিৎসালয়ে পাঠানাের ব্যবস্থা করতে হবে।