মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক চতুর্থ শ্রেণী জুলাই ২০২১(MODEL ACTIVITY TASK ClASS 4 JULY 2021)
বিষয়: বাংলা
শ্রেণি:চতুর্থ
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ সন্দেহ নাই মাত্র।– কোন বিষয়ে কবির মনে কোনাে সন্দেহ নেই?
উত্তর- কবি এই পৃথিবীর বিরাট খাতার পাঠ্য বিষয় থেকে নতুন নতুন জিনিস শিখছেন, তাতে তার সন্দেহ নেই ।
১.২ গর্তের ভিতর কে ?’– বক্তা কে?
উত্তর- এখানে বক্তা হল শিয়াল।
১.৩ তােত্তো-চান স্কুলে গিয়ে ইয়াসুয়াকি-চানকে কোন অবস্থায় দেখতে পেল?
উত্তর- তোত্তো-চান স্কুলে গিয়ে দেখল, ইয়াসুয়াকি-চৗন ফুলগাছগুলাের পাশে দাঁড়িয়ে আছে ।
১.৪ “. সবাই বল্লে ‘বেজায় মিঠে’!”- তাদের কাছে কোন কোন খাবার ‘বেজায় মিঠে লেগেছিল ?
উত্তর- ধুলাে-বালির কোর্মা পােলাও, কাদার পিঠে মিছি মিছি খেয়ে সেগুলি তাদের কাছে মিঠে লেগেছিল
১.৫ ‘বক সে চালাক অতি চিকিৎসক—'চঞ্চু'।'—‘'চঞ্চু'’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর- 'চঞ্চু' শব্দের অর্থ হল ওস্তাদ।
১.৬ মালগাড়ি’ কবিতায় কথক কার কাছে মালগাড়ি’ হওয়ার বর চাইবে?
উত্তর- মালগাড়ি' কবিতায় কথক পরির কাছে মালগাড়ি হওয়ার বর চাইবে ।
১.৭ সে ঘাের বনে মানুষের নামগন্ধ নেই, শুধু জানােয়ারের কিলিবিলি!—কোন্ জঙ্গলের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: এখানে লুসাই পাহাড়ের জঙ্গলের কথা বলা হয়েছে ।
১৮ ‘ইচ্ছা করে সেলেট ফেলে দিয়ে। অমনি করে বেড়াই নিয়ে ফেরি।'—কথকের কী কী ফেরি নিয়ে বেড়াতে ইচ্ছে করে?
উত্তর- কথকের চুড়ি ও চিনের পুতুল ফেরি নিয়ে বেড়াতে ইচ্ছে করে।
নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
২.১ নানান ভাবের নতুন জিনিস/ শিখছি দিবারাত্র।'—‘সবার আমি ছাত্র কবিতায় কবি কীভাবে প্রকৃতি থেকে দিনরাত নানান ভাবের নতুন জিনিস শেখেন?
উত্তর- সুনির্মল বসুর ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় কবি প্রকৃতি থেকে দিনরাত নানা ভাবে নতুন নতুন জিনিস শেখেন। আকাশের কাছ থেকে তিনি উদার হবার শিক্ষা পান। কর্মী হবার মন্ত্র আসে বায়ুর কাছ থেকে। পাহাড়ের কাছ থেকে তিনি মৌন মহান হওয়ার শিক্ষা পান। এরপর সূর্য তাকে আপন তেজে জ্বলার এবং চাঁদ তাকে হাঁসি মুখে মধুর কথা বলার শিক্ষা দেয়। অন্তরকে রত্নাকর করে তােলার ইঙ্গিত আসে সাগরের কাছথেকে। এছাড়াও নদীর কাছ থেকে আপন বেগে চলার, মাটির কাছ থেকে সহিতার, পাষানের কাছ থেকে কাজে কঠোর হওয়ার এবং ঝরনার কাছথেকে গান গাওয়ার শিক্ষা পান। সর্বপরি সবুজ বন কবিকে সরসতার ভিক্ষা দেয় ।
২.২ ‘গাছে ওঠা ব্যাপারটা তাহলে এইরকম!'—বক্তার অভিডতার নিরিখে গাছে ওঠা ব্যাপারটা কীরকম?
উত্তর- ‘তােত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার’ গল্পে গাছে ওঠার ব্যাপারটা বড়াে অদ্ভুত। পরিকল্পানা মতাে, একটি মই এনে গাছে লাগানাে হল। ইয়াসুয়াকি-চান নিজে উঠতে পারল না । তােত্তো-চান তাকে নীচ থেকে ঠেলে তােলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হল। এরপর একটা সিঁড়ির মতন মই এনে লাগালাে গাছের গােড়ায় অনেক কষ্ট করে ইয়াসুয়াকি চান মই-এর মাথায় পৌঁছাল। ভাগ হওয়া ডালে দাঁড়িয়ে তােত্তো-চান, মইয়ের মাথায় পেটের উপর ভর দিয়ে শােওয়া ইয়াসুয়াকি-চানকে টানতে থাকে। অবশেষে দুজনে গাছের ডালে মুখােমুখি দাঁড়াতে পারল।
তােত্তো-চান ইয়াসুয়াকি-চানকে আমন্ত্রণ জানালাে ‘স্বাগত'। ইয়াসুয়াকি-চান গাছের গায়ে পিঠ ঠেকিয়ে লাজুক ভাবে হেসে বলল ‘আসতে পারি ভিতরে ?'
২.৩ ‘আম-বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে।'—একথা বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : গােলাম মােস্তাফার লেখা ‘বনভােজন' কবিতায় এই ঘটনাটির উল্লেখ আছে। , নূরু, পুষি, আয়ষা, শফি সবাই আম বাগিচার তলায় এসে শখের রান্না করছিল। সেই জন্য ওই “ছােট ছােট ছেলেমেয়েদের উদ্দেশ্য করে একথা বলা হয়েছে ।
২.৪ টীকা লেখাে : পটগুলটিশ, রাগ-বানানাে, কবিতায় গল্প বলা।
উত্তর:
(ক) পটগুলটিশ- লেখিকা পুণ্যলতা চক্রবর্তী ছােটবেলায় তার পিসতুতাে, খুড়তুতাে, জ্যাঠতুতাে ভাই বােনেদের সাথে ছাদের এক পাশে জমা করে রাখা গঙ্গা মাটি দিয়ে গােলাগুলি তৈরি করতেন । যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার জন্য কাদার তৈরি এই বস্তুগুলিকে পটগুলটিশ বলা হত ।
(খ)-রাগ-বানানাে:- লেখিকা পুণ্যলতা চক্রবর্তীর ছােটবেলার এক মজার খেলা হল ‘রাগ-বানানাে। অপছন্দের লােকটির সম্বন্ধে অদ্ভুত গল্প বানিয়ে তাকে নাকাল করা হত । সেই সঙ্গে লােকটির বােকামির ঘটনা কল্পনা করে মজাও করা হত।
(গ) কবিতায় গল্প বলা :- লেখিকা পুণ্যলতা চক্রবর্তীর ছােটবেলার এক মজার খেলা হল ‘কবিতায় গল্প বলা'। একটা জানা গল্প নিয়ে এক একজন আএক একটি লাইন বানিয়ে বলত । এই ভাবে ঐ গল্পটি শেষ করা হত।,নানান ভাবের নতুন জিনিস শেখেন?
২.৫ ‘মালগাড়ি কবিতায় কথকের ‘মালগাড়ি’ হতে চাওয়ার তিনটি কারণ নির্দেশ করাে।
উত্তর- মালগাড়ি' কবিতায় কথকের মালগাড়ি হতে চাওয়ার তিনটি কারণ হল
(ক) তাদের সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছান এবং ছাড়ার তাড়া থাকে না ।
(খ) মালগাড়ির যাত্রী নামানাে বা তােলার কোনরকম ব্যবস্থা নেই।
(গ) মালগাড়ি তার নিজের ইচ্ছামত চলে ।
২.৬ বিচিত্র সাধ কবিতায় শিশুটির মনে কীভাবে বিচিত্র সাধ জেগে ওঠে?
উত্তর : - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিচিত্র সাধ’ কবিতায় শিশুটি রাতে জানালা খুলে দেখে যে, পাগড়ি পড়ে পাহারা ওয়ালা গলি দিয়ে যায় । সে হাতে একটি লণ্ঠন ঝুলিয়ে বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে থাকে। রাত যখন দশ-এগারটা হয় তখন রাস্তার গলিতে কেউ থাকেনা। শিশুটিরও ইচ্ছে হয় পাহারা ওয়ালা হয়ে গলির ধারে আপন মনে জেগে থাকতে।
৩.১ নীচের বাক্যগুলি থেকে সন্ধিবদ্ধ পদ খুঁজে নিয়ে সন্ধি বিচ্ছেদ করাে :
৩ .১.১ সমদ্রের একটি নাম রত্যকর।
উত্তর- রত্নাকর=রত্ন + আকর
৩.১.২ আমাদের বিদ্যালয় আমাদের গর্ব।
উত্তর- বিদ্যালয় = বিদ্যা + আলয়
৩.১.৩ তােমার দায়িত্ব সকলকে স্বাগত জানানাে।
উত্তর- স্বাগত সু + আগত
৩.১.৪ ‘রমেশ’ শরৎচন্দ্র চট্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত চরিত্র।
উত্তর- রমেশ
= রমা + ঈশ
৩.১.৫ সকলের মতৈক্য হওয়া সম্ভব নয়।
উত্তর- মতৈক্য = মত + ঐক্য
৩.২ সন্ধি করাে :
৩.২.১ সুধী + ইন্দ্র = সুধীন্দ্র
৩.২.২ দাম + উদর = দামােদর
৩.২.৩ পূর্ণ + ইন্দু = পূর্ণেন্দু
৩.২.৪ দিবস + অন্ত = দিবসান্ত
৩.২.৫ বন + ওষধি =বনৌষধি
৩.৩ টীকা লেখাে :
৩.৩.১ স্বরধ্বনি:
উত্তর:- যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ু বাকযন্ত্রের কোথাও বাধা পায় না এবং অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়াই উচ্ছারিত হয়,স্বরধ্বনি বলে যেমন অ , ই , এ ইত্যাদি ।
৩.৩.২ ব্যঞ্জনধ্বনি:
উত্তর- যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ু বাকযন্ত্রের কোথাও না কোথাও বাধা পায় এবং অন্য ধ্বনির সাহায্য নিয়ে উচ্চারিত হয়, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। । যেমন- ক, ব , চ ইত্যাদি ।